সিলেট :: উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনে সিলেট সেনানিবাসে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় সদর দপ্তর ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া সদর দপ্তর সিলেটের আয়োজনে রোডমার্চ ও র্যালিটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন সিলেট এরিয়া কমান্ডার ও ১৭ পদাতিক ডিভিশন জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার; সিলেট সেনানিবাসে অবস্থিত ইউনিট সমূহের অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গ।
সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেট ক্যান্টনমেন্টের মুজিব চত্বর থেকে র্যালি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সিলেট এরিয়া কমান্ডার ও ১৭ পদাতিক ডিভিশন জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মুজিব বর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন এবং মানবসম্পদ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অতিসম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এই অর্জন সত্যিই একটি বিরল এবং আনন্দদায়ক উপহার। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশের এই অবস্থান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য দেশপ্রেম এবং অবিচল নেতৃত্বের অবদান।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
জালালাবাদ সেনানিবাসেও অনুরূপ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কম্যাড্যান্ট এসআইএন্ডটি মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী এবং জালালাবাদ সেনানিবাসে অবস্থিত ইউনিটসমূহের অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গ।