সিলেটের ওসমানীনগরে অন্তসত্ত্বা গৃহবধূ শরিফা বেগমের (২০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের আরজু মিয়ার স্ত্রী এবং হবিগঞ্জ জেলার নবিগঞ্জের পিঠুয়া সদরাবাদ গ্রামের সাকিন উল্ল্যার মেয়ে।
শনিবার সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শরিফার পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় শরিফার ভাই মিনার মিয়া বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর শরিফার স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গৃহবধূর ভাই মিনার মিয়া জানান, প্রায় ৮ মাস পূর্বে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমার আন্তসত্তা বোন স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। এই করোনার মধ্যে ইফতারি দেয়া নিয়েও ঝামেলা হয়। তাদের কথা মতো ইফতারি দেয়ার পরও তারা খুশি হয়নি। শুক্রবার রাতে আমার বোন ফোন করে জানায় সমস্যা হচ্ছে। এর পর তার সাথে আর কোন যোগাযোগ হয়নি।
শনিবার সকালে বোনের শশুর বাড়ির লোকজন ফোন করে জানায় আমার বোন নাকি আত্মহত্যা করে মারা গেছে। বোনের ডান কানে এবং নাকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
গৃহবধূর মামাতো ভাই ফয়েজ আহমদ বলেন, বিয়ের পর থেকে অন্তসত্তা বোনের ওপর নির্যাতন করছে ওরা। এবার তারা বোনটিকে মেরেই ফেলেছে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। রাতে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার কান ও নাকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।