সাপটির নাম ঘরগিন্নি (ইংরেজি নাম Common Wolf Snake )। হয়ত ঘরের আশেপাশে থাকত বলেই পেয়েছিল এই নাম। বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Lycodon aulicus।
সোমবার (১৮ জুলাই) ছাতক থানার গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের বড় সৈয়দের গাঁও থেকে এ সাপের একটি বাচ্চা উদ্ধার করে নিয়ে আসেন পরিবেশকর্মীরা। পরে সাপটি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবমুক্ত করা হয়।
গ্রামের তরুণ সৈয়দ মিছবাহ ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে জানান, একটি অজগর সাপের বাচ্চা উদ্ধার করেছেন। গ্রামের অনেকে সাপটি মেরে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে।
তিনি সাপটি রক্ষায় প্রাণী অধিকারকর্মীদের সাহায্য চাইলে শ্রীমঙ্গলের ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার খোকন থউনাউজাম সিলেটের প্রাণী অধিকারকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেন। তখন সিলেট থেকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম ও পরিবেশকর্মী বিনয় ভদ্র সাপটি উদ্ধার করতে আজ দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ রওয়ানা দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, সাপটি দেখে ও ছবি তুলে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানতে পারি সাপটির নাম ঘরগিন্নি। বিষহীন শান্তপ্রকৃতির এই সাপের তিনটি প্রজাতি পাওয়া যায় আমাদের দেশে। এর দুটি প্রজাতি সচরাচর দেখতে পাওয়া গেলে বাকি একটি প্রজাতি বেশ কমই দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় এদের দেখা মেলে, তবে তার পরিমাণ খুব বেশি না হওয়াতে সাপটিকে বিরল বলা যায়। এই সাপ নিশাচর, তবে একে দিনেও দেখতে পাওয়া পায়।
তিনি বলেন, প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এই প্রজাতির সাপ। সাধারণত বনজঙ্গল, ফসলের জমি, ছোট ঝোপঝাড়েই বসবাস করে এরা। খাবারের তালিকায় রয়েছে ছোট ব্যাঙ, ব্যাঙ্গাচি, ছোট গিরগিটি জাতীয় প্রাণী।
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির অনুসন্ধানে ৪ প্রজাতির সাপ সচরাচর দেখতে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই চার প্রজাতির মধ্যে ঘরগিন্নি প্রজাতির সাপ রয়েছে।
উদ্ধার করে নিয়ে আসা সাপ সম্পর্কে বিনয় ভদ্র বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে খাবারের সন্ধানে মানুষের সংস্পর্শে এসে সবচেয়ে বেশি মারা পড়ে সাপ। যদিও বাংলাদেশের বেশীর ভাগ সাপ নির্বিষ। উদ্ধারকৃত সাপটি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অবমুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানালেন।