সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করতে নিজের বাবাকে গুম ও মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন ছেলে। এমনকি শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়ে আপন ভাইবোন ও বাসার ভাড়াটিয়াদের উপর হামলাও করিয়েছেন।
তাছাড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে ছোটভাই ও বোনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন তিনি। সেই মামলায় আসামি করেছেন বাবাকেও। নিজের ছেলের অব্যাহত হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী বাবাসহ পুরো পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এমন সন্তানের বাবা না। মৃত্যুর পর ওই ছেলে ও পুত্রবধু যেন আমার মরদেহ না দেখে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান যেন কোনো বাবা-মার ঘরে না জন্মে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি মিনতি করছি আপনাদের কোনো দিন বাবা মার সাথে বেয়াদবি করবেন না। বাবা মা কে কষ্ট দিবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী কাদর বলেন, আমি সিলেট নগরীর পরিচিত একজন ব্যবসায়ী। আমার তিন ছেলের নামে নগরীর শাহী ঈদগাহে একটি বাসা রয়েছে। জেলরোড ও মহাজনপট্টি এলাকায় আমার তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সন্তানদের দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ছোট ছেলে আবদুল মোমিন ‘মেসার্স আলী মেশিনারিজ’, মেজো ছেলে আলী হাসান আমিন ‘মেসার্স আলী কর্পোরেশন’ ও বড় ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন ‘আলী এন্ড সন্স’ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে।
তিনি বলেন, ১৩ বছর আগে হেতিমগঞ্জের তুরবাগ এলাকার রমিজ আলীর মেয়ে পলি আক্তার প্রিয়ার সাথে বড় ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমার সংসারে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। বউয়ের প্ররোচণায় বড় ছেলে আমার স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজের নামে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। ২০১৬ সালে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে সংসারের বড় ছেলে হিসেবে ব্যবসায়ীক সকল কাগজপত্র ও মূল্যবান সামগ্রী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত স্থানে নিরাপদে রাখার জন্য তার হাতে তুলে দেই। সেই সুযোগে মামুন আমার ছোট ছেলে আবদুল মোমিন পরিচালিত প্রতিষ্ঠান জেল রোডস্থ ‘আলী মেশিনারীজ’ এর জমিদারকে ভুল বুঝিয়ে দোকানের সকল কাগজপত্রে নিজের নাম লিখে নেয়। পরে জমিদার পরবর্তীতে মামুনের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। এ বিষয়ে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোনো সুদুত্তর দিতে পারেনি।
আলী কাদর বলেন, ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসে মামুন বাসায় আমার স্ত্রীকে (তার মাকে) গালাগাল, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও বেয়াদবিমূলক আচরণ করে। আমার স্ত্রী যাতে বিষয়টি আমাকে ফোনে জানাতে না পারেন তাই বাসায় থাকা মোবাইল ফোনের সুইচ অফ করে খাটের নীচে ফেলে রেখে স্ত্রীসহ স্বেচ্ছায় ওইদিন বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকে মামুন স্ত্রীসহ নগরীর ফরহাদ খাঁ পুলস্থ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে।